একান্ত ভাবনা।

philosopher-thinking-584

ড্যান ব্রাউন  আমার প্রিয় একজন উপন্যাসিক। তার সকল বই পড়ার সুযোগ আমার হয়েছে। তার যে বইটি প্রথম পড়ি তাহলো-দ্য দা ভিঞ্চি কোড। খ্রিস্টানিটি থেকে শুরু করে ধর্মীয় অনেক বিতর্কিত বিষয়ের আলোকে উপন্যাসটি লেখা হয়। মজার বিষয় হল তার উপন্যাসের যে কোন কিছু আপনি ইন্টারনেট খুঁজলে তার লিংক পাবেন। যেমন তার একটা উপন্যাসে লেখা আছে ল্যাটিন ভাষার বাইবেল থেকে ইংরেজি ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করার সময় অনুবাদকের একটু ভুলে অনুবাদ দাঁড়ায়-মোজেসের মাথায় শিং। মাইকেল অ্যাঞ্জেলো’র একটি ছবি আছে যেখানে দেখা যায় মোজেসের মাথায় শিং।

‘দ্য দা ভিঞ্চি কোড’ বইটি বের হওয়ার পর এ নিয়ে সিনেমাও নির্মাণ করা হয়। বিখ্যাত অভিনেতা টম হ্যাংক্স এতে অভিনয় করেন। ভিটিকান থেকে সিনেমাটি যেন মুক্তি না দেওয়া হয় তার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ভ্যাটিকানের অনুরোধে সাড়া না দিয়ে সিনেমাটি মুক্তি পায় ২৬শে মে ২০০৬ তে। অনেকে হয়তো বিরক্ত হয়ে ভাবছেন জানা কথা আমি কেন এই সময়ে অহেতুক জানাচ্ছি!

এবার একটু ভাবুন তো। পৃথিবীর জনসংখ্যার দিক থেকে প্রধান চারটি ধর্মের একটি হল খ্রিস্টান ধর্ম। ইউরোপ আমেরিকার মানুষ চিন্তার দিকে উদার হলেও তারা ব্যক্তিগত জীবনে মোটামুটি ধার্মিক ও বিশ্বাসী। যাদের বাহিরে থাকার সুযোগ হয়েছে তাদের মুখে এমনটাই শুনেছি। ভ্যাটিকান সিটির ধর্মীয় রেডিওটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ শোনে। এ থেকে বোঝা যায় তারা মোটামুটি ধর্ম ভালই পালন করে। এতক্ষণ ধরে এতো কথা বলার একটাই কারণ তাহলো “অনুভূতি ও সহনশীলতা” কেমন হওয়া উচিত তা বোঝানোর জন্য। দ্য দা ভিঞ্চি কোড পৃথিবীর সবচেয়ে বিক্রিত বইগুলো একটা। পঞ্চাশটির বেশি ভাষায় বইটি অনুবাদ হয়েছে। বাংলাদেশেও এর অনুবাদ হয়েছে। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বইটির চমৎকার অনুবাদ করেন। কলেজে থাকা অবস্থায় অনেক বন্ধুকেই দেখেছি বইটি মুগ্ধ হয়ে পড়তে। কিন্তু কারো কখনো অনুভূতি আহত হতে শুনিনি। খ্রিস্টান নবী ঈসা ইহুদি ও মুসলিমদেরও নবী। তবে খ্রিস্টানদের মূল নবী হওয়ায় হয়তো কারো অনুভূতি আহত হয়নি। বরং বইটি পড়ে সবাই মুগ্ধ হয়েছে কেউ বা বলেছে তাদের প্রিয় বইয়ের প্রথম দিককার তালিকায় আছে দ্য দা ভিঞ্চি কোড! তবে ভ্যাটিকান সিটির পোপদের সাথে সাথে হয়তো অনেক খ্রিস্টান ধার্মিকদের হৃদয় আহত হয়েছে। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হল ড্যান ব্রাউনকে এর জন্য দেশ ছাড়তে হয়নি। মনে হয় জবাই করার হুমকি পেতে হয়নি। সিনেমায় অভিনয় করার জন্য টম হ্যাংক্স কোন হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন এমনটা কখনো শুনিনি। তাহলে কি ধরে নেব খ্রিস্টানদের আদতে কোন অনুভূতি নেই। নাকি তারা আসলে সহনশীলতার যুগে চলে এসেছে?

আমরা সবাই জানি রেনেসাঁসের পূর্বে খ্রিস্টান পাদ্রীদের অত্যাচার, নারীদের ডাইনি খেতাব দিয়ে পুড়িয়ে মারার ইতিহাস। ইউরোপে প্রায় ২০ লক্ষ নারী এই ডাইনি হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ডাইনি পোড়ানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ধর্মীয় উন্মত্ততা সেসময় অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়েছিল। তাহলে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে ধর্মীয় উন্মাদনা তাদের কোন অংশে কম ছিল না। কিন্তু সময় বদলায় মানুষের চিন্তা-চেতনাও বদলায়। পরিবর্তন সবসময় পজিটিভ হয় তা নয়। তবে পরিবর্তন সবসময় মঙ্গলের দিকে ধাবিত হবে এমনটাই সকলে আশা করে। ৭১-এর পর আমাদের দেশের নির্যাতিত মানুষগুলো হয়তো তাই ভেবেছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা পাকিস্তানের ধর্মীয় বগি পরিবর্তন করে বাংলাদেশের ধর্মীয় বগিতেই স্থানান্তরিত হয়েছি। বগি বদলালেও বগির সামাজিক পরিবেশ বদল হয়নি। স্বাধীনতার তিন বছরের মাথায় ১৯৭৪ দাউদ হায়দারকে দেশ ছাড়তে হয়। তরুণ বয়সে সবাই রক্ত একটু গরমই থাকে। কালো সূর্যের কালো জ্যোৎসায় কালো বন্যায়’ নামে একটি কবিতা লেখেন। দাউদ হায়দার বিভিন্ন ধর্মের নবী ও অবতারদের নিয়ে কবিতাটি লেখেন। এবং সেটি বায়তুল মোকারামের সামনে কবিতাটি নিজ হাতে ঝুলিয়ে দিয়ে আসেন। ১৯৭৩ সালে কবিকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৪ এর ২০ মে সন্ধ্যায় তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং ’৭৪-এর ২১মে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ নির্দেশে সুকৌশলে কলকাতা-গামী একটি ফ্লাইটে তাকে তুলে দেয়া হয়। ওই ফ্লাইটে সে ছাড়া আর কোনও যাত্রী ছিল না। তাঁর কাছে সে সময় ছিল মাত্র ৬০ পয়সা এবং কাঁধে ঝোলানো একটা ছোট ব্যাগ (ব্যাগে ছিল কবিতার বই, দু’জোড়া শার্ট, প্যান্ট, স্লিপার আর টুথব্রাশ।) কবির ভাষায়, ‘আমার কোন উপায় ছিল না। মৌলবাদীরা আমাকে মেরেই ফেলত। সরকারও হয়ত আমার মৃত্যু কামনা করছিল।’

ভারতে গিয়েও রক্ষা পাননি তিনি। জিয়াউর রহমান এর নির্দেশে তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। হাইকমিশনার তাঁর বাসায় গিয়ে, বাসা মানে দাউদ হায়দার ভারতে যাঁর আশ্রয়ে থাকতেন সেই বাড়ীতে গিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে আসে। ভারত সরকার তাঁকে ভারত ত্যাগের ফাইনাল নোটিশ দেয়- “… য়্যু হ্যাভ নো কেইস ফর গ্রান্ট অব লংটার্ম ষ্টে ফ্যাসিলিটিজ ইন ইন্ডিয়া এন্ড য়্যু আর দেয়ারফর রিকোয়েষ্টেড টু লীভ ইন্ডিয়া ইম্মিডিয়েটলি উইদাউট ফেইল।”

নোবেল লরিয়েট জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাস ভারত সফরে এসে পুরো ঘটনা শুনলেন। কথা দিয়ে গেলেন তাঁকে “তোমার জন্য কিছু একটা করবো। তিনি জার্মান সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথা বলে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত কবিকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা করেন। ২২ শে জুলাই ১৯৮৭ এর কোনো এক ভোরে জার্মানির বার্লিনে গিয়ে পৌঁছান দাউদ হায়দার। জাতিসংঘের বিশেষ ‘ট্রাভেল ডকুমেন্টস’ নিয়ে এখন ঘুরছেন দেশান্তরে। সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় এলে তিনি আটক পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করেন। তার পাসপোর্ট ফেরতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এরশাদ সরকারও। এরশাদের আমলে ঘোষণা করা হোল, “এই লোক বাংলাদেশের জন্য সন্দেহজনক”- এই মর্মে পৃথিবীর যেসব দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস আছে, সেই সব দেশে নোটিশ পাঠানো হল। নোটিশে বলা হল- “এই ব্যক্তিকে সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে কোনো পাসপোর্ট প্রদান করা যাইবে না। তাহার নাম সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।’

বর্তমান সরকারও কবিকে দেশে আসার অনুমতি দেননি। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জার্মানি সফরে গেলে বাংলাদেশের নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কবি দেশে ফেরার ব্যাপারে তার আকুতির কথা জানান মন্ত্রীকে। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন দেশে ফেরার জন্য। কিন্তু সেই আবেদনে সরকার সাড়া দেয়নি।

দাউদ হায়দারকে নিয়ে এতো কথার বলার কারণ হল তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত লেখক। যিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছেন। অনেক বড় ঘরের সন্তান ছিলেন বলে হয়তো সরকার তাকে প্রাণে বাঁচিয়ে দেন। এছাড়া সাপ্তাহিক ২০০০ এ প্রকাশিত হওয়া তার আত্মজৈবনিক লেখা ‘সুতানটি সমাচার” ২০০৭ সালে ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত দেয়ার অভিযোগে সরকার বাজেয়াপ্ত করে। এরপর আঘাত আসে তসলিমা নাসরিনের উপর। ডাক্তার তসলিমা নাসরিন শুধু মোল্লাদের না প্রগতিশীল!, মডারেট হিন্দু মুসলিম সবার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান। দাউদ হায়দার একজন পুরুষ ছিলেন কিন্তু এতো নারী। তাও আবার ধর্ম নিয়ে লেখা। এতো বড় স্পর্ধা আমাদের সমাজ তো মেনে নেয়নি তেমনি রাষ্ট্রও মেনে নেয়নি। ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমি বই মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল/ছাত্রলীগ তসলিমা নাসরিনের শাড়ি খুলে ফেলে। এমন জঘন্য অন্যায়ের কোন বিচার হয়নি। বাংলাদেশ রাষ্ট্র তাকে সরকারী চাকরি হতে বহিষ্কার করে, নাগরিকত্ব বাতিল করে এবং তার পাসপোর্টও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর আঘাত আসে আহমদ শরীফের উপর। মোল্লারা আহমদ শরীফের ফাঁসি চেয়ে রাজপথে মিছিল করে। ২০০৪ সালে হুমায়ুন আজাদের উপর শারীরিক হামলা করে বসে দেশের মৌলবাদীরা।

আমাদের সমাজে মৌলবাদীদের সহনশীলতা কখনো ছিল না। তেমনি ছিল না ভারতবর্ষেও। তাই তো সালমান রুশদিকে ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাস লেখার জন্য দেশ ছাড়তে হয়। তার মাথায় মূল্যও দিয়ে ফতোয়াও জারি করে ইসলামিক মৌলবাদীরা। বাংলাদেশের মানুষগুলো বইটির মলাট না দেখে (পড়া তো অনেক দূরের বিষয়) সালমান রুশদির কল্লা চায়। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। এই সহনশীলতা মৌলবাদীদের মধ্যে কখনো ছিল না কিন্তু বর্তমান আধুনিক জীবন-যাপনকারী মোডারেট ধার্মিকদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে না। এটাই আমার কাছে খুব অদ্ভুত ঠেকে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে ধর্মীয় হিংস্রতা যেভাবে দেখা যায় তাহলে ভয় না পেয়ে উপায় নেই। কেউ ধর্ম নিয়ে একটি প্রশ্ন করলে বা দ্বিমত প্রকাশ করলেই তাঁর কল্লা চাওয়া হয়। এই কল্লা চাওয়া অতীতে শুধু মৌলবাদীরা চাইত কিন্তু বর্তমানে তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত মডারেট ধার্মিকরা।

একটা দেশের মানুষের আচার আচরণ দেখে আরেকটি দেশ সেই দেশ সম্পর্কে পজিটিভ নেগেটিভ ধারনা লাভ করে। বনের পশুও এতোটা হিংস্র হয় না যতোটা না আমাদের ধার্মিক কিংবা বিশ্বাসীরা হয়। একবার ভাবুন তো; এই হিংস্রতা বিশ্বের কাছে বা অন্য ধর্মের মানুষের কাছে আপনার কোন জিনিসটি তুলে ধরছে। আমেরিকায় টুইন টাওয়ার ধ্বংস হওয়ার পর অনেক মুসলিমদের হেরাসমেন্টের শিকার হতে হয়েছে। যা কখনো কাম্য ছিল না কিন্তু দাঙা বা হত্যা শিকার হতে হয়নি। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষগুলো ধর্মীয় উন্মাদনা যেভাবে প্রকাশ করে তাতে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে এই দেশে অন্য ধর্মের বা অন্য জাতির কোন মানুষ অদূর ভবিষ্যতে বসবাস করতে পারবে না। ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় রীতিনীতির সমালোচনা কোথায় হয় না? সকল দেশেই হয় সকল ধর্মেরই হয়। মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় হয়তো ইসলামের সমালোচনা আমাদের চোখে বেশি লাগছে। এটাই স্বাভাবিক। কিছুদিন আগে আমেরিকায় Atheist টিভি চালু হয়। অনলাইনে দুই তিনটা অনুষ্ঠান দেখলাম। সেখানে জিশু খ্রিস্টান বা খ্রিস্টান ধর্ম নিয়েই বেশি বলা হচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক।

কেউ কোন দ্বিমত প্রকাশ করলে, কেউ ধর্মের বিরুদ্ধে বললে সবাই হিস্টেরিয়া রোগীর মতন ফাঁসি, হত্যা, জবাই জবাই বলে সারা বাংলা মাতম করে। অথচ একটি বারও কেউ ভাবছে না তার এমন আচরণের ফলে তার হিংস্রতাই প্রকাশ পায় প্রতিবাদ না। আর কেউ যদি ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে বা সমালোচনা করে অপরাধ করে তার থেকে বেশি অপরাধ করছে যারা এর প্রতিবাদের নামে জবাই বা ফাঁসি চাচ্ছে। অথচ সভ্য সমাজের লেখার প্রতিবাদ লেখাতেই হয়। তবে হ্যাঁ লেখাও অনেক সময় বড় ধরনের অন্যায় হয়। যখন লেখায়-ভিন্ন জাতি বা ভিন্ন ধর্মের মানুষকে গণহত্যা করার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু অবিশ্বাসীরা বা যারা ধর্মের সমালোচনা বা প্রশ্ন করে তারা কী কখনো করেছে বলে কোন মৌলবাদী বলতে পারবে না। বরং তারাই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার জন্য কান্নাকাটি করে বেড়ায়।

আমার টেবিলের তাকে সবার উপরের কয়েকটা বই রাখা আছে। তার মধ্যে আছে সোফির জগৎ আছে দ্য দা ভিঞ্চি কোড। ভিঞ্চি কোডের মোনালিসার চোখের দিকে আমি প্রায় সময় তাকিয়ে থাকি আর ভাবি এই বইটি যদি অন্য ধর্ম নিয়ে হতো তাহলে রক্তের বন্যা হয়তো বয়ে যেত। ইউটিউবে কোন এক সিনেমা প্রকাশ পেয়েছে (এখন পর্যন্ত কেউ দেখে নাই) তার জন্য পাকিস্তানে নিজেরাই নিজেদের ২৫কে হত্যা করে। আমি ভাবি আর বইটির দিকে তাকিয়ে থাকি মোনালিসাও একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে হয়তো সেও একই প্রশ্নেরই উত্তর ভেবে যায়।

অক্টোবর ৩, ২০১৪
—————————————————-
কিছু তথ্যের জন্য ঋণী- দাউদ হায়দারঃ ৫৫,০০০ বর্গ মাইলের প্রথম নিষিদ্ধ কবি

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.