নাস্তিক হত্যায় আমাদের দায়!

বাংলাদেশে ধর্মান্ধদের দেশ এটাই সবাই জানে। ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষগুলো ধর্ম পালন করুক বা না করুক ধর্মের প্রতি এক ধরনের উগ্রতা তারা লালন করে থাকে। এখন কথা হচ্ছে এই উগ্রতা বা ধর্মান্ধতা কীভাবে দূর করা যাবে? কীভাবে আমরা সমাজটাকে ধর্মান্ধতা মুক্ত করতে পারি?

ক) ধার্মিকদের গালাগালি করে?
খ) ধার্মিকদের পবিত্র জিনিসগুলোকে অশ্রদ্ধা করে?
গ) ধার্মিকদের সাথে মিশে এবং যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে সবকিছু বোঝানোর মাধ্যমে?
ঘ) শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার ও বিজ্ঞান-মুখী শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে?

আমাদের দেশের জন-পরিচিত নাস্তিকরা উপরের দুইটিকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে সমাজকে ধর্মান্ধমুক্ত করতে চায়। বাস্তবতা হল উপরের দুইটি পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে হয়তো জন-পরিচিতি পাওয়া গেলেও সমাজকে ধর্মান্ধমুক্ত করা সম্ভব না। বরং এতে সমাজে ধর্মান্ধদের পাল্লা ভারি হয় এবং সমাজে নাস্তিক বিদ্বেষ আরও প্রকট আকার ধারণ করে। যে ছেলেটি এক বেলাও ধর্ম পালন করত না এবং নাস্তিকদের প্রতি কোন বিদ্বেষ পোষণ করতো না সেই ছেলেটিও নাস্তিক বিদ্বেষী হয়ে উঠে। এখন কথা হচ্ছে আপনি যেহেতু স্রোতের বিপরীতে চলতে চাচ্ছেন সেহেতু আপনাকে কিছু বাঁধার সম্মুখীন তো হতে হবেই। এখানে বলে রাখা ভাল জন-পরিচিত মুখ যে সবসময় মেধাবী হবে বা মেধাবী হলেই যে আপনি জন-পরিচিতি লাভ করবেন বিষয়টা তাও নয়। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় বিজ্ঞান লেখক সারা জীবন আড়াল থেকেই মারা গেলেন। ফেসবুক ব্লগে বিশেষ করে ফেসবুকে বিতর্কিত বা সংখ্যাগরিষ্ঠের কোন কিছু নিয়ে নোংরামি করলে খুব সহজেই পাবলিক এটেনশান অর্জন করা সম্ভব। এগুলো করে ফেসবুকে আপনার ফলোয়ার কমবে না বরং বাড়বে। তাই অনেকেই নিজেকে সবসময় আলোচনায় মোহে এগুলো করে থাকে। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য নাস্তিক নাস্তিক ভাই ভাই তাই এগুলো বিরুদ্ধে আমাদের তেমন কোন অবস্থান নেই। অথচ এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার দরকার ছিল সবার আগে আমাদেরই। কারণ এসব কর্মকাণ্ডের কারণে যারা মাঠ লেবেলে বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করে তাদের পথ আরও বেশি কঠিন হয়ে যায়। এছাড়াও ধর্মীয় বিষয় নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করার পথ ছোট হয়ে আসে। পরিশেষে এসবের কারণে দেশে নাস্তিকদের বসবাস করা আরো বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

গণজাগরণের পর ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খুন হয় রাজিব হায়দার। ব্লগারদের মধ্যে তিনিই প্রথম। এর পর “আমার দেশ” পত্রিকায় ব্লগের কিছু লেখা ছেপে সমগ্র দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় যে; নাস্তিক মানেই গালিবাজ চটি লেখক। শুনতে খারাপ শোনা গেলেও এটা সত্য যে; তারা এটা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। এর পর ২০১৪ সালে ১৯ এপ্রিল আল্লামা শফি বিবৃতি দেয়; নাস্তিক হত্যা করা ওয়াজিব হয়ে গেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আমাদের কোন অবস্থান ছিল না। এই দেশে ধর্মান্ধ থাকার যেমন অধিকার আছে তেমনি নাস্তিকদের থাকার অধিকার আছে এই সরল বাক্যটা আমরা মানুষকে বোঝেতে সক্ষম হই নি।

বাংলার সাধারণ জনগণ ভাবে নাস্তিক মানেই ধর্ম-বিদ্বেষী অথবা ইসলাম বিদ্বেষী। তারা এটা ভুলে যায় নাস্তিকতা কোন ধর্ম নয়। বা নাস্তিক কোন গোত্র নয় যে সবাই এক রকমভাবে তাদের নাস্তিকতা করে। বাংলাদেশে হাজারো মানুষ আছে যারা কোন কিছুতে বিশ্বাস করে না। কিন্তু এগুলো নিয়ে আলোচনা করতেও তারা আগ্রহী না। তাই নাস্তিক হলেই যে ধর্ম বিষয়ে বা সমালোচনায় আগ্রহী হবে এমনও না। আর নাস্তিক মানেই সব এক-গোত্রের তাও না। কারণ নাস্তিক আওয়ামীলীগার হয়, নাস্তিক বামপন্থীরাও হয়, নাস্তিক বিএনপিও হয় আবার হেফাজতও হয়। তাই কে ভুতে বিশ্বাস করে কে করে না এটা অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। অবিশ্বাসী মানুষ তার নিজের ব্যক্তিগত দর্শনের আলোকে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে তাই হয়তো অবিশ্বাসীদের সাথে অন্য অবিশ্বাসীদের কিছুক্ষেত্রে বেশ মিল আছে। কিন্তু একজনের দায় আরেকজন অবশ্যই বহন করে না। কিন্তু বাংলার মুল্লুকে বেশি ভাগ মানুষ সবাইকে একই পাল্লায় বসিয়ে বিচার করে। সমস্যাটা এই খানেই। ফলে অনেকের কর্মকাণ্ডের প্রতি বিদ্বেষ ঘৃণা তারা হাতের কাছে পাওয়া কোন নাস্তিকদের উপর ঢেলে দেয়। তাই আমি নিরাপদ জায়গায় আছি কিন্তু এর মানে এই না আমি এমন কিছু করব যার জন্য দেশের অনিরাপদে থাকা আরও বিশ জন মানুষ মৃত্যু ঝুঁকিতে পরে। আমি জানি অসংখ্য মানুষ দেশ ছাড়তে চাচ্ছে! অসংখ্য মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিসে যায়। এই অফিসে যাওয়ার পথেই কিন্তু খুন হলেন অনন্ত বিজয় দাশ, খুন হলেন ওয়াশিকুর বাবু! অনেকের সাথেই কথা হয় যারা নিজের আসল ফেসবুক আইডিটা অফ করে দিয়েছেন। মুক্তমনা ব্লগেও লেখালেখি বন্ধ করে দিয়েছেন। দুইটি বছর আমি দেশে ছিলাম। আমি জানি কীভাবে আমাকে থাকতে হয়েছে। পেটের তাগিদে এক পরিচিত ব্যক্তির অফিসে চাকরিও করতে হয়েছে। সেখানেও সর্বক্ষণ নিজেকে আড়াল করে রাখতে হতো। তাই কেউ যখন বলে ভাই বৌ ছেলে আছে তাই আইডি অফ করে দিয়েছি। তখন উপলব্ধি করতে পারি কতোটা ভয়ে তারা চলাফেরা করছে। অনলাইন থাকা মানুষ অনলাইন ছাড়া থাকতে পারে না! তাই ফেইক আইডি খুলে অনলাইনে ঘুরে বেড়ায়।

২০১৫ সালে ইতোমধ্যে আমরা তিনজন ব্লগার ও লেখককে হারালাম। যাদের অভিজিৎ দা ছিলেন প্রথম শিকার! যিনি আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের বই মেলায় ঘুরতে এসেছেন। গত দুই বছরে চারজন ব্লগার খুন হলেন এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও নিহত হয়। এছাড়াও অনেক মাওলানাও ধর্মীয় কারণে খুন হয়। তবে আমাদের আলোচনা ব্লগারদের নিয়ে। কেন ব্লগার ঘোষণা দিয়ে হত্যা ও হত্যার পর মানুষদের সহানুভূতিটুকুও পাওয়া যাচ্ছে না?

জাফর ইকবাল সহ আরও অনেককেই ব্লগার হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। অথচ ব্লগার হল সামান্য অনলাইন লেখক। কিন্তু তারা কেন এসব মানুষকে ব্লগার হিসেবে পরিচিতি করতে চাচ্ছে। এর মূল কারণ ব্লগারদের নিয়ে যেহেতু একটা নেতিবাচক ধারণা আছে তারা সেই বিষয়টি কাজে লাগাতে চাচ্ছে। গত বছর লন্ডনে আরিফুর রহমান, তসলিমা নাসরিন ও আসিফ মহিউদ্দিন নিজেদের মধ্যে এক আলোচনার ভিডিও প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ইচ্ছাকৃত হয়তো অনিচ্ছাকৃত-ভাবে কোরান শরীফের উপর চায়ের কাপ রাখা আছে। পৃথিবীর যে কোন বইকে ইচ্ছাকৃত-ভাবে অসম্মান করা কোন সুস্থ কাজ না। যাই হোক এর প্রতিক্রিয়া কি হবে তারা খুব ভাল করেই তা জানত। ফলে যা হবার তাই হয়েছে অসংখ্য গালি, অসংখ্য হুমকি তারা পেয়েছে। ভিন দেশী বন্ধুরা অনুবাদ করে তা দেখল। ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখলাম ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এই ভিডিও শেয়ার দিয়ে বিভিন্ন ইসলামিক সাইটে ইসলামিকরা বলছে;- কোরান শরীফের উপর চায়ের কাপ রেখে ওনারা কি বুঝচ্ছেন? সময় হয়েছে নাস্তিক কতল…..! আমার প্রশ্ন হল আগুন তো লাগিয়ে দিলেন কিন্তু সেই আগুনে অন্য কোন সাধারণ নাস্তিক যেন মারা না পরে সেই ব্যবস্থাটুকু কি আপনারা করেছেন?

“মুক্তমনা ব্লগ” আগ থেকেই ইসলামিকদের নজরে ছিল তা সবাই জানে। আর এই ব্লগের প্রতিষ্ঠান বা প্রধান ভূমিকায় অভিজিৎ রায় তাও কারো অজানা নয়। অভিজিৎ রায় তার লেখার মাধ্যমে অসংখ্য তরুণের মগজ নষ্ট করে দিচ্ছে (মুমিনদের দৃষ্টিতে) এই নিয়ে ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঘুম নেই। অভিজিৎ রায়কে নিয়ে ২০১৪ সালে পোস্টারও ছাপানো হয় এবং তাঁর পিতা অজয় রায়ের বাড়িতেও সেই পোস্টারটি পাঠানো হয়। অভিজিৎ দা ফেসবুকে খুব একটা সময় দিতেন না তাই বোধয় তিনি অনুমান করতে পারেননি যে তাঁর লেখা ও ব্লগ সাইটের জন্য তাকে হত্যা করা হতে পারে। অস্বীকার করার উপায় নেই অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা জঙ্গিদের জন্য বিগ শট। কারণ অভিজিৎ দা’র মতন খুব কম লেখকই আছেন যারা তরুণদের বিজ্ঞান ও সংশয়বাদ নিয়ে আগ্রহী করে তুলতে পারছেন। এবং জঙ্গিরা এটাও জানে আন্তর্জাতিকভাবে নাস্তিকদের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে এই বটবৃক্ষকে না উপড়িয়ে তাদের আর কোন গতি ছিল না। তাই ২৬ ফেব্রুয়ারিতে কুপিয়ে হত্যা করা হল অভিজিৎ রায়কে আর তাঁর স্ত্রী বন্যা আহমদ অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। অভিজিৎ রায় খুন হওয়ার পর অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে অভিজিৎ রায় তো কখনো নোংরামি করেনি তাহলে তিনি কেন খুন হলেন? তিনি তো কখনো কোন গালাগালি বা নোংরামিতে যাননি। আরেক শ্রেণি নাস্তিক হত্যায় উল্লাস প্রকাশ না করলে সহানুভূতিও জানাতে চায় নি। আবার অনেকেই বলেছেন অনলাইনের কিছু নাস্তিকদের কর্মকাণ্ডের কারণেই আসলে নাস্তিকরা মানুষ থেকে দূরে সরে গেছে। এই দূরে সরে যাওয়াটা অস্বীকার করার উপায় নেই আমাদের। তাই মাঝে মধ্যে প্রশ্ন জাগে আসলে যৌক্তিক শালীন লেখালেখি বাদ দিয়ে কিছু নাস্তিক এসব অশ্লিল অসভ্য কর্মকাণ্ড করে আসলে কি উদ্ধার করতে চাচ্ছে। অভিজিৎ রায় খুন হওয়ার পর ইউ.কে থেকে একটা ইভেন্ট করা হয় ইভেন্টের নাম- নবী পুন্দন সপ্তাহ। আচ্ছা এই ইভেন্ট করে কয়জন মানুষকে ধর্মান্ধ থেকে দূর করা যাবে? কয়জন মানুষকে নাস্তিক করা যাবে? নাকি উল্টো কয়েক লক্ষ মানুষের ঘৃণাই শুধু অর্জন হবে? নাকি এই রাগের শোধ তুলবে দেশে অবস্থান করা নিরীহ কোন নাস্তিকদের কল্লার উপর দিয়ে? প্রশ্নগুলো রেখে গেলাম আপনাদের কাছে।

গত ২৬ জুন আমেরিকায় আদালত সমকামী মানুষের পক্ষে রায় প্রদান করে। বাংলাদেশের অনেকেই মনে করে নাস্তিক না হলে মনে হয় সমকামী হওয়া যায় না। অতীতে মুসলিমদের মধ্যে সমকামিতা নিয়ে একটা গবেষণা ও তথ্য মূলক ভিডিও দেখেছি। যেখানে নামাজ পড়া ব্যক্তিও সমকামী। সমকামী কেউ ইচ্ছায় হয়না। যারা সম-লিঙ্গের যৌনতার স্বাদ পেতে চায় তা ভিন্ন বিষয়। যাই হোক সমকামিতা কি তা এখানে আলোচনা করতে চাচ্ছি না। এই নিয়ে অভিজিৎ রায়ে একটা বই-ই আছে। এছাড়াও কাজী মাহবুব হাসানের ব্লগসহ অনেকের অসংখ্য লেখা অনলাইনে পাওয়া যায়। সমাজে সমঅধিকারের পক্ষে সংহতি জানিয়ে অনেকেই ফেসবুকে নিজের প্রোফাইল পিক রংধনুতে রাঙিয়েছেন। এবং এই সমকামিতা নিয়ে ছোট বড় অসংখ্য লেখা নজরে পড়ল। গুটি কয়েক ছাড়া সবাই সুস্থ-ধারায় নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা আগে একজন শেয়ার করল যাতে দেখা যাচ্ছে; একজন পরিচিত ব্লগার (আসিফ মহিউদ্দিন) কাবা শরীফকে রংধনুর রঙে রাঙিয়ে দিয়েছেন। এথিস্ট রিপাবলিকের এই ছবিটায় ভালোবাসার মেসেজ ছিল। অনেকের হয়তো তাতেও আপত্তি থাকত কিন্তু তিনি সেই পথে না গিয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে উল্টো ঘৃণা ও খোঁচাখুঁচির লাইনে গেলেন। ফলে যা হবার তাই হল কয়েক হাজার গালি এবং অনলাইনে যারা সমকামীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষও পোষণ করেনি তারাও সমগ্র নাস্তিকদের গালি দেওয়া শুরু করল। এখানে নিজের পরিবারের একটা ঘটনা উল্লেখ করতে চাই। আমি কি লিখেছি না লিখেছি তা যাচাই বাচাই না করেও আমার বাবার ৩০ বছরের পুরাতন দোকানটি পুড়িয়ে দেওয়া হল। আমাকে যেহেতু হাতের কাছে পাওয়া সম্ভব নয় সেহেতু আমার বাবার দোকান পোড়ানো সবচেয়ে সহজ কাজ। এখানে বলে রাখা ভাল আমার বাবা দোকানে ঘুমাতেন। কিন্তু আমি জেলে যাওয়ার পর থেকে মা দোকানে ঘুমাতে মানা করায় তিনি বাসায় ঘুমানো শুরু করেন। সেই দিন তিনি দোকানের ভেতর থাকলে আমার বানা জ্যান্ত মারা যেতেন। নিজে নিরাপদ অবস্থানে থাকায় ফেসবুকে আবারো ধর্মান্ধতার তাবুতে আগুন লাগানোর ফলে আরও কয়েকজন নাস্তিক যদি খুন হয় তখন হয়তো আমরা বিবিসি, সিএনএন বক্তব্য দেব। মৃত ব্লগারকে নিয়ে নিজেদের আলোচিত করব তাই তো। কিন্তু যে মারা পড়বে তার কী হবে? তার পরিবারের কী হবে তা কি একবারও আমরা ভেবে দেখেছি? মৃত্যুর মিছিল থামাতে পাচ্ছি না, ধর্মান্ধতা দূর করতে পারছি উল্টো সাধারণ মানুষকে আরও বেশি প্রতিক্রিয়াশীল হতে সহায়তা করছি। কাবা শরীফের এই ঘটনার পর যারা রংধনুর প্রোফাইল ঝুলিয়েছি তাদের সবার প্রতি সাধারণ মানুষের ঘৃণা আরও তীব্র হবে। এই দায় আমরা অস্বীকার করব কীভাবে? যে পুলিশ সদস্য নাস্তিকদের দেখতে পারে না তারা কি আরও বেশি নাস্তিক বিদ্বেষী হবে না? প্রশ্ন রেখে গেলাম আপনাদের কাছে।

অভিজিত দার কথাটা আবারো উচ্চারণ করতে চাই- “মুক্তি আসুক যুক্তির আলোয়।”

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.