অভিজিৎ রায়ের সাথে প্রথম ও শেষ দেখা

অভিজিৎ রায়ের লেখার সাথে অনেক আগ থেকে পরিচিত থাকলেও সামনা-সামনি দেখা হয়েছিল একবারই। ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে’র সন্ধ্যায় দাদার সাথে দেখা হয়। দেখা হওয়ার সাথে সাথে বললেন- আরে আমাদের বিখ্যাত ব্লগার সুব্রত শুভ নাকি, এই বলে অন্যদের সাথেও পরিচয় করিয়ে দিলেন। কিছুটা লজ্জা লাগলেও খুব খুশি হচ্ছিলাম কারণ দাদা থেকে এমন উষ্ণ আচরণ দেখে।

সেইদিন সন্ধ্যায় আরেক লেখক রায়হান আবির ভাই সহ অভিজিৎ রায়, লেখিকা স্ত্রী বন্যা আহমদ-এর সাথে বই  মেলায় অনেকক্ষন ঘুরলাম। অভিজিৎ রায় ক্যামেলিয়া’র খবর জিজ্ঞেস করলেন। এরপর বললেন একদিন সবাই মিলে আড্ডা দিবেন। সময় ও স্থান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। আরিব ভাই জানাল ২৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবারে সবাই মিলে আড্ডা দেবে। স্থান ও সময় জানিয়ে দেওয়া হল।

২৬ ফেব্রুয়ারিতে অফিসে থাকায় বই মেলায় যেতে পারি নি। দাদা মেসেজে বলছিল; কী বই মেলায় আসবেন নাকি? জানালাম আজ হয়তো আসা হবে না। তবে কালকে তো দেখা হচ্ছেই আমাদর। তবে ২৬ তারিখও দাদা’র সাথে দেখা হয়েছিল তবে সেটি জীবিত নন, মৃত অভিজিতের সাথে। রাত ৯:৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যালে পৌঁছাই। গিয়ে দেখি দাদার নিথর দেহটি হাসপাতালে পড়ে আছে। অন্যদিকে প্রিয় বন্যা আহমেদ আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। ২০১৫ সালে প্রথম খুন হোন অভিজিৎ রায়। এর আগে ২০১৩ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি’তে খুন হোন রাজীব হায়দার। রাজীব হায়দার দিয়ে ব্লগার ও লেখক হত্যা শুরু হয় বাংলাদেশে। এর আগে ২০০৪ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি  হুমায়ুন আজাদ বই মেলা থেকে আসার পথে ইসলামিক জঙ্গিদের চাপাতি হামলার শিকার হোন।

দাদা'র কাছ থেকে পাওয়া প্রথম ও শেষ অটোগ্রাফ
দাদা’র কাছ থেকে পাওয়া প্রথম ও শেষ অটোগ্রাফ। বই ‘শুন্য থেকে মহাবিশ্ব’ লেখক- মীজান রহমা ও অভিজিৎ রায়

২০১৫ সালে অভিজিৎ রায়ে ‘শুন্য থেকে মহাবিশ্ব’ ও ‘ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো: এক রবি-বিদেশিনীর খোঁজে’ বইদুটি প্রকাশ হয়। বই দুটোর জন্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আসেন। এবং ইসলামিক মৌলবাদীদের চাপাতি হামলার শিকার হোন। অভিজিৎ রায়ের জীবনী ও লেখ-লেখি সর্ম্পকে জানতে চাইলে ক্লিক করুণ এখানে- অভিজিৎ রায়

অভিজিৎ রায়ের লেখা শেষ বই
অভিজিৎ রায়ের লেখা শেষ বই

10861002_837921116264160_5370976023242314788_o

প্রিয় অভিজিৎ রায় ও বন্যা আহমদ
প্রিয় অভিজিৎ রায় ও বন্যা আহমদ
মানবকল্যাণে নিজের শরীর'টি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে দান করে দিয়ে, না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রিয় অভিজিৎ রায়
মানবকল্যাণে নিজের শরীর’টি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে দান করে দিয়ে, না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রিয় অভিজিৎ রায়

One comment

  1. কি হারালাম, কাকে হারালাম এইটা বোঝার মত বোধও এই জাতির আগামী কয়েক শতাব্দীতে হবে বলে মনে হয় না।

    Like

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.