বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কারের কথা উঠলে একদল এসে বলবে মাদ্রাসা শিক্ষার ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে আরেক সুবিধাবাদী দল সবসময় এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখে সমস্যা থেকে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করে। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরাও কম যান না। কিন্তু এই সমস্যার কথা আবদুল রহমান তর্কবাগীশ বলে গেছেন ৭২ সালেই।
২৬শে ফাল্গুন (১৯৭২) শুক্রবার মাওলানা আবদুল রশিদ তর্কবাগীশ বলেন- বৈশ্বিক শিক্ষা বৈষয়িক শিক্ষা বিবর্জিত মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষালব্ধ জ্ঞান সমাজ জীবনে খুব একটা কাজে আসে না। তিনি প্রচলিত স্বতন্ত্র মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। এই ব্যবস্থার পরিবর্তনের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

মাওলানা সাহেব গত বুধবার বায়তুল মোকাররমের হল কক্ষে আয়োজিত ইসলামিক শাস্ত্রবিদ সমাবেশে সভাপতির ভাষণ দান প্রসঙ্গে উপরোক্ত মন্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের রাষ্ট্রীয় আদর্শ ঘোষিত হওয়ায় ধর্ম শিক্ষার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেকের মনে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই আশংকার কোন সঙ্গত কারণ নেই। কারণ ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ধর্মশিক্ষাকে নির্বাসন দেওয়া হয় নি।
দেশের মুক্তিসংগ্রাম চলাকালে এক শ্রেণির তথাকথিত আলেমের ন্যক্কারজনক ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে মওলানা বলেন, তাদের এই জঘন্য ভূমিকার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। ভাবী শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষার পূর্ণ ব্যবস্থা থাকবে বলেও মওলানা তর্কবাগীশ আশা প্রকাশ করেন।
আরো কয়েকজন আলেম উক্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন। সমাবেশে মওলানা তর্কবাগীশকে সভাপতি ও মওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ’কে সাধারণ সম্পাদক করে ‘ইসলামী শিক্ষা সংস্কার সংস্থা’ নামক একটি কমিটি গঠন করা হয়।
পত্রিকার ছবি কৃতজ্ঞতায়- International Crimes Strategy Forum (ICSF) and Center for Bangladesh Genocide Research (CBGR)