
হেফাজত ইসলাম প্রকাশ্যে নাস্তিকদের হত্যার হুমকি দিলেও এর বিরুদ্ধে কোন অবস্থান নেয়নি সরকার। শুধু হেফাজত ইসলাম নয় বর্তমানে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে নাস্তিদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ও জিহাদ ঘোষণা করা হচ্ছে। অথচ সরকার এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ব্লগারদের দোষী হিসেবে উপস্থাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ‘আমরা তোমাদের প্রধানমন্ত্রীকে গালি দিই নাই, শুধু শুধু আমাদের দিকে চোখ বড় করে তাকাও কেন? নাস্তিকরা তোমরা মুরতাদ হয়ে গেছ, তোমাদের কতল (হত্যা) করা আমাদের ওপর ওয়াজিব হয়ে গেছে।’
আল্লামা শফী আরও বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম কাউকে গদিতে বসাতে-নামাতে আন্দোলনে নামে নাই। আমরা আন্দোলন করছি ১৩ দফা মানার জন্য। সরকার, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নাই। তারা মুসলমান হলে আমাদের ১৩ দফা মেনে নেবে। ১৩ দফা মানলে ভালো, না মানলে নাই।’
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের হকার-ব্যবসায়ী আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলনে আল্লামা শফী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আল্লামা শফী বলেন, ‘তারা কোথায় কী স্বপ্ন দেখেছে, কওমি মাদ্রাসার মধ্যে জঙ্গি আছে। স্কুল-কলেজে তো দুই দল মারামারি-গোলাগুলি করে, জঙ্গি বললে তাদেরই বলতে হবে। বাংলাদেশের কোনো মাদ্রাসার মধ্যে দুই দল মারামারি-গোলাগুলি করেছে, এ রকম প্রমাণ দিতে পারলে আমি তাদের পুরস্কৃত করব।’ তিনি বলেন, ‘নাস্তিকদের গালি দিলে কারও গায়ে লাগলে আমার করার কিছু নাই। আল্লাহর দেশে থাকতে হলে আল্লাহকে না দেখে আল্লাহর অস্তিত্ব মানতে হবে, না হলে তুমি আল্লাহর দেশে থাকতে পারবে না।’
ইসলামি মহাসম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা জালাল আহমদ।-১৯ এপ্রিল ২০১৪। -দৈনিক প্রথম আলো
নিউজ লিংক-নাস্তিক কতল ওয়াজিব হয়ে গেছে-আল্লাম শফি
নিউজ লিংক-লতিফের মাথার দাম ৫ লাখ টাকা-হেফাজত
নাস্তিকতার অভিযোগ এনে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে কতল বা মাথা কেটে হত্যার হুমকি দিয়েছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আলেমদের সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।
দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন সংগঠনটির ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য সচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব এ হুমকি দেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে কোনও নাস্তিককে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এখনও ছেড়ে দেওয়া হবে না। লতিফ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের মাটিতে মুক্ত অবস্থায় থাকতে দেওয়া হবে না। যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই কতল করা হবে।’
সোমবার রাজধানীর বারিধারায় জামি’আ মাদানিয়া মাদ্রাসায় ঢাকা মহানগর হেফাজতের ইফতার মাহফিলে এ হুমকি দেন হেফাজতের দায়িত্বপ্রাপ্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় এ নেতা।
এদিকে সদ্য জামিনে মুক্ত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে পুনরায় গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছে ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলাম। তাকে আবার গ্রেফতার না করা হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হেফাজতের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমী।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সদস্য সচিব মোস্তফা আজাদ, অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাদের, বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মুফতি নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক প্রমুখ।
এদিকে হেফাজতের পাশাপাশি ধর্ম অবমাননার মামলায় লতিফ সিদ্দিকী জামিনে ছাড়া পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো।
ইসলামী ঐক্যজোট সোমবার মাগরিবের নামাজের পর লালবাগ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। সেখানে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেছেন, লতিফকে মুক্তি দিয়ে উগ্রবাদী মুরতাদ, নাস্তিক্যবাদী জঙ্গিদের জামাই আদর করা হচ্ছে। মুরতাদ, নাস্তিক্যবাদী, জঙ্গি লতিফদের ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না।
আগামী শুক্রবার দেশের প্রতিটি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণাও দেয় ইসলামী ঐক্যজোট।
খেলাফতে ইসলামীর আমির মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, ঈমানদার রোজাদারদের তীব্র আন্দোলনে নাস্তিক-মুরতাদরা খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে। লতিফকে জামিন দিয়ে সরকার নিজের জামিন কেটে দিয়েছে। তাই এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। তারা ইসলাম ও মুসলমানদের চরম দুশমন।
সোমবার মতিঝিলে ইসলামী ছাত্র খেলাফত আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশের সভাপতি আনছারুল হক ইমরানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মো. খোরশেদ আলমের সঞ্চালয়না আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবু তাহের জেহাদী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ছাত্র মসলিসের সভাপতি সোহাইল আহমদ, ছাত্রকল্যাণ পাটির সভাপতি মো. ওমর ফারুক, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমদ, জাতীয়তাবাদী বন্ধুদলের সভাপতি শরীফ মোস্তফা জামান লিটু, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সভাপতি মো. শাহ জালাল, আঞ্জুমানে তালামিযে আরাবিয়ার সভাপতি বেলাল আহমেদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারি নুরুন্নবী, ছাত্র খেলাফতের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান প্রমুখ।
সোমবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, স্বঘোষিত মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে জামিনে বের হওয়ার সুযোগ দিয়ে সরকার ইসলামবিদ্বেষীদের উস্কে দিয়েছে।-২৯ জুন ২০১৫-বাংলা ট্রিবিউন
নিউজ লিংক-লতিফ সিদ্দিকীকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে কতল-হেফাজত
সময়বার্তা২৪ ডেস্কঃ নাস্তিকদের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিলেন হেফাজতে ইসলামের আমীর শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি। তিনি বলেন, পাঁচ বিষয়ে যার বিশ্বাস নেই সে নাস্তিক। এই পাঁচ বিষয় নিয়েই নাস্তিকদের সাথে মুসলমানদের দ্বন্দ্ব। আমরা সবাই আস্তিক। নাস্তিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ৩ জানুয়ারী রবিবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার শানে রেসালত সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেন, ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান নেই। যারা ইসলামের সঠিক বিধিবিধান পালন করে, তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়না। সরকারের উদ্দেশ্যে আল্লামা শফি বলেন, বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের দেশ। যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের শানে বেয়াদবী করে তাদের শাস্তির বিধান কায়েম করতে হবে। আলেম-ওলামারা আল্লাহর রাসুলের প্রতিনিধি। যারা আলেম সমাজকে অবহেলা ও হেয়প্রতিপন্ন করে তাদের পতন অনিবার্য। এরা আল্লাহর শাস্তি থেকে রেহায় পাবেনা। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে সকল মুসলামানকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত শানে রেসালত সম্মেলনে আল্লামা শফি বলেন, মানুষের অন্তরে খোভীতি না থাকার কারণে সন্ত্রাস, জুলুম বেড়ে চলছে। পাপাচারে লিপ্ত হতে মানুষ দ্বিধা করছেনা। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আখেরাতের ভয়াবহ আজাব থেকে মুক্তির জন্য মানুষকে আল্লাহ’র ইবাদত বন্দেগী যথা নিয়মে পালন করতে হবে। জীবনকে শিরক-বিদআতমুক্ত রাখতে হবে। হেফাজতের আমীর বলেন, কওমী মাদরাসাগুলো আল্লাহওয়ালা ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরী করছে। দেশের মানুষকে হেদায়াতমুখি করতে কওমী আলেমদের বিরাট ভুমিকা রয়েছে। মানুষকে অন্যায় থেকে বিরত রেখে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে কওমী মাদরাসা ও হেফাজত ইসলাম নিরলস কাজ করছে। হেফাজতের আন্দোলনে সবার শরীক হওয়া জরুরী। আলোচনায় তিনি মুসলমানদের আত্নার পরিশুদ্ধি ও পরকালের মুক্তির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও জিকির এস্তেগফারের আমল করার আহবান জানান। একই সাথে দেশকে খোদায়ী গজব থেকে রক্ষা করতে সকল নাগরিককে আল্লাহর নাফরমানী ত্যাগ করতে হবে বলে জানান আহমদ শফি। হেফাজতের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা মুফতী মুজাফ্ফর আহমদ, কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। আলোচনা করেন, আল্লামা নুরুল ইসলাম অলিপুরী, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এবি. এম হিজবুল্লাহ, হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ আল হাবিব, বি-বাড়িয়ার জামিয়া দারুল আরকাম এর পরিচালক আল্লামা সাজেদুর রহমান, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক আল্লামা ওবাইদুর রহমান খাঁন নদভী, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। সম্মেলনে বিভন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা সোহাইব নোমানী, মাওলানা মসরুর আহমদ, মাওলানা শেখ সোলাইমান, মাওলানা আমান উল্লাহ সিকদার, মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মাওলানা নাজির হোসেন। সম্মেলনের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হেফাজতের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইয়াছিন হাবিব। বক্তব্য রাখেন হাফেজ আব্দুল হক, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, হাফেজ ছালামত উল্লাহ, মাওলানা হাফেজ নুরুল আলম আল মামুন, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা হাফেজ মুবিনুল হক, মাওলানা এহতেশামুল হক, সায়েম হোসেন চৌধুরী, ক্বারী কলিমুল্লাহ প্রমুখ। সম্মেলন পরিচালনা করেন হাফেজ আবুল মনজুর ও মাওলানা সোহাইল। ৪ জানুয়ারি ২০১৬।- সময়বার্তা
নিউজ লিংক-নাস্তিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে:আল্লামা আহমদ শফি
ফেনী: নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি বলেছেন, ‘যারা ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তির একটিরও বিরোধিতা করবে তারা নাস্তিক। তোমরা তৈরি থেকো। নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যখনি ডাক দেয়া হবে তোমাদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
শুক্রবার বিকেলে ফেনীর ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আয়োজিত শানে রেসালত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা রাজনীতি করেন আমরা বাধা দেব না। কিন্তু ইসলাম নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বাংলার মাটিতে হেফাজতে ইসলামের একজন কর্মী বেঁচে থাকতেও ইসলাম নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।’
সংগঠনের ফেনী জেলা সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও ঢাকা মহানগরীর নেতা মুফ্তি সাখাওয়াত হোসাইনসহ বিভিন্ন জেলা নেতারা।-৮ এপ্রিল ২০১৬। বাংলা মেইল২৪
নিউজ লিংক-নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে
আলেমদের বিরুদ্ধে কথা বললে জিহ্বা কেটে নেওয়া হবে: এমপি বাবুকে হেফাজত নেতা
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুকে আলেম-ওলামাদের নিয়ে কটূক্তি করতে নিষেধ করেছেন হেফাজতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান। তিনি এমপি বাবুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ এ দেশ আলেম-ওলামাদের দেশ। আলেম সমাজ মাঠে নামলে আপনি পালাবার সুযোগ পাবেন না।’
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) নগরীর ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় রেলওয়ে জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মুসলমানদের কেবলা বায়তুল মোকাদ্দাস জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান বলেন, ‘আড়াইহাজারে যত ওয়াজ মাহফিল হয় সেখানে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু প্রতিটি ওয়াজ মাহফিলে জোর করে প্রধান অতিথি থাকেন। ওয়াজ মাহফিলে আগত বক্তাদের অপমানিত করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সাংসদ বাবু আল্লামা খুরশেদ আলম কাশেমি এবং হাবিবুর রহমান মিছবাহ’র সঙ্গে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। সাংসদ বাবু আলেমদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা আলেম সমাজ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’-১৫ই ডিসেম্বর, ২০১৭
হাইকোর্টের ভাস্কর্য ইস্যুতে, সুলতানা কামালের বক্তব্যকে বিকৃত করে হেফাজতের হুমকি
‘রাজপথে নেমে দেখুন, হাড্ডি-গোস্ত রাখা হবে না’, সুলতানা কামালকে হেফাজত
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুলতানা কামালকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব বলেছেন, ‘ভাস্কর্য থাকতে না দিলে মসজিদ থাকতে দেয়া হবে না- এমন কথা বলার সাহস হলো কিভাবে সুলতানা কামালের। সুলতানা কামাল রাজপথে নেমে দেখুন, হাড্ডি-গোস্ত রাখা হবে না।’
সুলতানা কামালকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম সংগঠনের ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, প্রধানমন্ত্রী মসজিদগুলোয় সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন, প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মসজিদ বানাবেন ঘোষণা দিয়েছেন। আর সুলতানা কামাল বলেছেন ভাস্কর্য থাকতে না দিলে মসজিদ থাকতে দেয়া হবে না। সাহস কত সুলতানা কামালের! রাজপথে নেমে দেখুন, হাড্ডি-গোস্ত রাখা হবে না।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত সুপ্রিমকোট থেকে ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, সুলতানা কামালকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করুন। না হয় তাকে তসলিমা নাসরিনের মতো দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিন। সুলতানা কামালের দেশ বাংলাদেশ নয়।
ঢাকা মহানগর হেফাজতের সভাপতি মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, মহানগর হেফাজতের সহসভাপতি মাওলানা মামুনুল হক, মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি মাহফুজুল হক, গোলাম মুহিউদ্দীন ইকরাম, আতাউল্লাহ আমিন, আব্দুল করিম, মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমী বলেন, গ্রিক দেবী অপসারণের কারণে আমরা গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু অত্যন্ত বেদনার সাথে আজ আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশ করতে হচ্ছে। মূর্তি অপসারণের পর আবার প্রতিস্থাপন তামাশা, এছাড়া আর কিছু নয়। অনতিবিলম্বে মূর্তি অপসারণ করা হোক, না হলে রমজানের পরে বৃহৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী, জ্বালাও-পোড়াওয়ে বিশ্বাসী না।
মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব আরো বলেন, বদরের যুদ্ধ রমজান মাসে হয়েছে। মক্কায় যত মূর্তি সরানো হয়েছে, সেটা রমজান মাসেই সরানোর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি মূর্তি কি এখান থেকে সরাবেন? নাকি আমরা আসব? যদি আমাদের আসতে হয়, বাংলাদেশে পূজা মণ্ডপ ছাড়া আর কোথাও মূর্তি রাখা হবে না। প্রশাসন ও সরকারকে বলতে চাই, আমরা যে আসতে পারি, আপনাদের নিশ্চয় তা জানা আছে। ২৪ ঘণ্টায় কোটি মানুষ ঘেরাও করবে হাই কোর্ট। মেহেরববানি করে আমাদের আসতে বাধ্য করবেন না। আমরা যে দিন আসব, পুলিশ ঠেকাতে পারবে না। আমরা যে দিন আসব, কাফনের কাপড় হাতে নিয়ে আসব।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে দু’টি শিবিরে বিভক্ত। একটি মূর্তির পক্ষে, অন্যটি মূর্তির বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। সুপ্রিম কোর্টের কোনো স্থানেই মূর্তি থাকতে দেয়া হবে না। হেফাজতের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, সেদিনের জন্য প্রস্তুত থাকুন, প্রয়োজনে আল্লামা আহমদ শফী ডাক দেবেন। এ দেশের আলেম সমাজ রাজপথে নামবে। থেমিসের গলা রশি বেঁধে প্রয়োজনে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হবে।
ঢাকা মহানগর হেফাজতের সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি কলা ঝুলিয়ে মুলা খাওয়ালেন। তিন চারজন লোকের কারণে আপনার ভোট বাক্স কমছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে আশা করবেন না। আগামী নির্বাচনে স্বয়ং মোদি এসে আপনাকে ক্ষমতায় বসাতে পারবেন না।’
হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে দু’টি শিবিরে বিভক্ত। একটি মূর্তির পক্ষে, অন্যটি মূর্তির বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে ভিনদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। সুপ্রিম কোটের কোন স্থানেই মূর্তি থাকতে দেওয়া হবে না।’ হেফাজতের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘সেদিনের জন্য প্রস্তুত থাকুন, প্রয়োজনে আল্লামা আহমদ শফী ডাক দেবেন। এ দেশের আলেম সমাজ রাজপথে নামবে। থেমিসের গলা রশি বেঁধে প্রয়োজনে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হবে।’
সংগঠনটির সহ-সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। তিনি বিচারপতি থাকতে পারেন না। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে প্রধানবিচারপতিকে অপসারণ করতে হবে। যদি অপসারণ না করা হয়, তবে তৌহিদা জনতা ঈদের পর বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে মূর্তি আর মূর্তি পূজকদের বাংলাদেশ থেকে তাড়াতে বাধ্য হবে।’
মাওলানা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ওরা বলে ভাস্কর্য আর মূর্তি এক জিনিস না। মূর্তির চেয়ে ভাস্কর্য আরও খারাপ। মূর্তির পূজা করে সামান্য গুটি কয়েক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। আর ভাস্কর্য পূজা করে মৃণাল হক, সুলতানা কামাল, শাহরিয়ার কবির, ইমরান এইচ সরকাররা। এসব নাস্তিক-মুরতাদরা ভাস্কর্য পূজা করে। এসব ডিজিটাল নাস্তিকদের বাংলার জমিন থেকে ভাস্বর্যসহ ভারতে পাচার করে দেওয়া হবে। মৃণাল হক সুপ্রিম কোর্টের সামনে জঙ্গিবাদ শুরু করেছে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে দেবীর হাতে তরবারি দিয়েছে। এদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।’ জুন ২, ২০১৭।
নাস্তিকদের টুকরো করতে পারলে কলিজা ঠাণ্ডা হতো- আউয়াল, ২৪ জুলাই, ২০২০
