সুব্রত শুভ: বর্তমানে অনলাইনে আলোচিত ইস্যু ‘ইস্টিশন ব্লগ’। বিটিআরসি বাংলাদেশ থেকে ইস্টিশন ব্লগে প্রবেশ বন্ধ বা ব্যান করে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে খুব সহজে ইস্টিশন ব্লগ পড়ার সুযোগ আর থাকছে না। ধারণা করা হচ্ছে “জঙ্গি সংগঠন হুজির রাজনৈতিক দল গঠনে নেতৃত্ব দেয় ডিজিএফআই” শিরোনামে ব্লগ পোস্টের কারণে ইস্টিশন ব্লগের উপর এমন আঘাত আসল। (ব্লগ পোস্টটি দেখার লিংক-এখানে ও এখানে)
বাংলাদেশের নামক রাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার উপর পবিত্রতা আরোপ করা হয়। ফলে ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা কিংবা বিরোধিতা ব্লাসফেমি কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এমনই এক সংগঠন। যে সংগঠনটির সাবেক প্রধান ও কর্মকর্তারা আলোচিত ১০ ট্রাক মামলার আসামী ও পরবর্তীতে সাজাপ্রাপ্ত (মৃত্যুদণ্ড) হয়েও আলোচনার ঊর্দ্ধে পবিত্রাসনে তারা বিরাজমান।
মার্কিন তারবার্তায় মার্কিন কর্মকর্তারা বলছে, ডিজিএফআই এমনই এক সংস্থা যা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ জনসম্মুখে উচ্চারণ করতে ভয় পায়। বাস্তবতা তার থেকেও ভীতিকর। কারণ সামান্য একটি ব্লগ পোস্টের কারণে বাংলাদেশের মানুষের জন্যে একটি কমিউনিটি ব্লগ যেখানে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অথচ বাংলাদেশের সংবাদপত্রে বিভিন্ন সময় উইকিলিকসের বরাত দিয়ে ডিজিএফআই-এর অনৈতিক কর্মকাণ্ড সংবাদ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। যেমন- দ্য ডেইলি স্টার ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর Huji leaders float party with govt nod: US citizen helped it get ‘int’l support’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। বিডিনিউজ২৪ ২০১০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর ‘DGFI wanted extremists in mainstream politics‘ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। এছাড়া বাংলাদেশের সকল পত্রিকা দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ে এনএসআই ও ডিজিএফআই-এর কর্মকর্তাদের নাম ও শান্তির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।
এছাড়া প্রথম আলো ২০১৩, ৭ জুন একুশে আগস্ট গ্রেনেড-হামলা‘তাজউদ্দিনকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয় ডিজিএফআই’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাই এসব পুত-পবিত্র সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ড কোনটাই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে অজানা নয়। তবে যেহেতু তারা শক্তিমান ও ষড়যন্ত্রকারী সেহেতু মানুষ ভয়ে তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আলোচনা করে না। তাই সাধারণ মানুষের কাছে রাজনীতিবিদদের নিয়ে সমালোচনা অনেক বেশি স্বস্তি-দায়ক।
শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর সব দেশেই ডিজিএফআই-এর মতন সংস্থা আছে। যে সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে জানতে দেওয়া হয় না। মানে সব কিছু সিক্রেট রাখা হয়। সিক্রেট ও প্রাইভেসি এই দুইটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য অনেক। অ্যাসাঞ্জ মনে করেন-সিক্রেট হলো রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় আর প্রাইভেসি হল ব্যক্তিগত। রাষ্ট্রীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক গোপনীয়তা বা সিক্রেট ভাঙতে হবে; কারণ এসব ক্ষেত্রে গোপনীয়তাই ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, ষড়যন্ত্র ইত্যাদির সুযোগ করে দেয়। অন্যদিকে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বা প্রাইভেসি রক্ষা করতে হবে, কারণ এটি নাগরিক স্বাধীনতার অন্যতম পূর্বশর্ত।
বাংলাদেশে হুজির বোমা হামলার লিস্ট ও হুজি কীভাবে কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে তা পূর্বের লেখায় যেহেতু আলোচনা করা হয়েছে, সেহেতু নতুন করে এখানে আলোচনা করছি না। মশিউল আলমের সংকলন, অনুবাদ ও সম্পাদনায় “উইকিলিকসে বাংলাদেশ: উইকিলিকস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের গোপনীয় তারবার্তা সংকলন”-এ হুজির রাজনৈতিক দল গঠনে ডিজিএফআই-এর নেতৃত্বের তারবার্তাটির অনুবাদ আছে। তবে মশিউল আলমের বইতে ২৩ অক্টোবর (২০০৮) এর তারবার্তাটি নেই। সেখানেও হুজির রাজনৈতিক শাখা পিডিপি’র রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তৎকালীন সেনা প্রধান ও ডিজিএফআই-এর প্রধানের সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টির কথা হয়। সেই গোপন তারবার্তাটি পাঠকের জন্যে অনুবাদ করেছেন-চিন্তিত সৈকত।
তারবার্তা নং ০৮ ঢাকা ১১০৮
তারিখ: ২৩ অক্টোবর ২০০৮; সময়:১১:১ পূর্বাহ্ণ
শ্রেণি: সিক্রেট
বিষয়: COAS PLEDGES TO BLOCK IDP REGISTRATION; DGFI
PROMISES BROADER CT COOPERATION
সারসংক্ষেপ:
১) ইসলামি ডেমোক্রেটিক পার্টি ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চেষ্টা করছে এই বিষয়ে উদ্বেগ জানাতে অক্টোবরের ২২ তারিখ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সেনা প্রধান মইন আহমেদকে ফোন করেছিলেন। মইন আহমেদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, খুব দ্রতই এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য তিনি ব্যবস্থা নিবেন। তারও আগে, ২১ অক্টোবর ডিজিএফআই এর ডিরেক্টর জেনারেল গোলাম মোহম্মাদ এর সাথে আলোচনায় এম্বাসেডর গোলাম মোহাম্মদকে বলেছেন, মার্কিন সরকার ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গঠনের বিষয়ে সাহায্য করেনি। মুহাম্মদ এম্বাসেডরের এই কথা নোট করে রাখেন, এবং তার নোট গ্রহণ কারীকে বলেন নির্বাচন কমিশনের সাথে যোগাযোগ করতে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় আগামী ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক অংশগ্রহণের আবেদন না মঞ্জুর করা হয়। এম্বাসেডর আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে ডিজিএফআই এর অসহযোগিতার কথা জোর দিয়ে বলে; ডিজিএফআই থেকে এই অবস্থা উন্নতির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
সেনা প্রধানকে ফোন কল
২) মার্কিন এম্বাসেডর জেনারেল মইন আহমেদকে ফোন দিয়েছিলেন গত ২২ অক্টোবর দুপুরে, তখন তিন পাকিস্তান ভ্রমণে ছিলেন। এম্বাসেডর মইনকে জানান আগামী নির্বাচনে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির অংশগ্রহণের চেষ্টা এবং রাজনৈতিক অভ্যুত্থানে মার্কিন সরকার ভালোভাবে নিচ্ছে না। এম্বাসেডর উল্লেখ করে বলেন, রাজনীতিতে এই দলের আবির্ভাব বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের জন্যই ভয়ানক হবে। মইন বলেন, তিনি এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। যদিও তিনি উল্লেখ করেন নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন সত্ত্বা। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দ্রুতই ঢাকা ফোন করার এবং তার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে নিশ্চিত করতে এই দলের আবেদন (ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির) যাতে না মঞ্জুর হয়।
ডিজিএফআই প্রধানের সাথে মিটিং
৩) রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে সকালের নাস্তার সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর ডিরেক্টর জেনারেল মোহাম্মদ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির (আইডিপি) রাজনীতিতে আগমন বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চান। রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজনীতিতে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আগমন এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের আবেদন নিয়ে তিনি বেশ আতঙ্কিত। রাষ্ট্রদূত ও RAO কাউন্সিলর উল্লেখ করেন, যেহেতু আইডিপির সাথে হুজির খুবই নিকট সম্পর্ক আছে, সেহেতু ওয়াশিংটন আইডিপিকে হুজির নামান্তর ধরে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূত চিন্তিত, কারণ যদি IDP বিষয়টি নিয়ে সামনে এগুনোর অনুমতি পায়, তবে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে। তবে মজার ব্যাপার হল, মোহাম্মদ এই বিষয়ে নিজেকে দূরে রেখে, কোনো ধরণের নাম উল্লেখ না করে সাবেক DGFI ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এটিএম আমিনের অদূরদর্শিতায় হুজিকে রাজনৈতিক দল গঠন করতে দেওয়া হয়েছে বলে দোষারোপ করেন। মোহাম্মদ রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন আইডিপি সম্পর্কে তার অবস্থান পাবলিক না করতে। মোহাম্মাদ আরও বলেন, আইডিপিকে রেজিস্টেশনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা নিয়ে মার্কিন সরকারের অবস্থান বুঝতে পারছেন।
জরুরী অবস্থার প্রতি সমর্থন অব্যাহত
৪) মোহাম্মদ জরুরি অবস্থা জারি রাখার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে এম্বাসেডরের সাথে বচসা করেছেন। মোহাম্মদ বুঝাতে চেয়েছেন, ১১ জানুয়ারি, ২০০৭ হতে জরুরি অবস্থা জারি করার কারণে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত আছে। মোহাম্মদ আরও বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ক্যাডার ও অবৈধ অর্থের মাধ্যমে সৃষ্ট ত্রাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে জরুরি অবস্থা জারি রাখা আবশ্যক। এম্বাসেডর প্রত্যুত্তরে বলেছেন, বাংলাদেশের আইন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য যথেষ্ট হওয়া উচিত।
এম্বাসেডর বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য ১৮ ডিসেম্বরের আগেই জরুরি অবস্থা উঠিয়ে নেয়া উচিত। মোহাম্মদ উত্তরে বলেছেন, সংসদ নির্বাচন প্রার্থীদের নিবন্ধন চূড়ান্ত করার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার জরুরি অবস্থা উঠিয়ে নিতে চায় (সম্ভাব্য, ১৮ ডিসেম্বরের তিন সপ্তাহ পূর্বে)।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে একাধিক বিষয় এখনো অমীমাংসিত
৫) মোহাম্মদ বলেন দিন শেষে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি উভয়ই আগামী ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তিনি মনে করেন, বিএনপি সবাইকে দ্বিধার মধ্যে রাখবে শেষ মুহূর্তেও কি তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা। এটা হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে. ছাড় আদায় করার জন্য বিএনপির একটি কৌশল। উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও মোহাম্মদ মনে করেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করা, যাতে নবনির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যরা প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। যদিও, ২৪ এবং ১৮ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে, মুহাম্মদ আরও বলেন, নির্বাচিত তারিখ নির্ভর করছে এখনও আলোচনার উপর, হয়তো পিছাতেও পারে।
নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে
৬. মুহাম্মদ বলেন, রাজনীতিতে স্থিরতা এবং সব দলের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তিনি ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনে পরবর্তী বিষয়ের উপরেও নজর রাখছেন। বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ যাতে একই বিষয়ে একমত হতে পারে মুহাম্মদ এবং জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা খুবই ভালোভাবে চেষ্টা করছেন, যাতে নির্বাচন পরিবর্তী সময়েও তারা পেশাগত আচরণ বজায় রাখে, কোনো ধরণের হরতালের মাধ্যমে তাদের এই নির্বাচনী ব্যর্থতা ঠেকানোর চেষ্টা না করে; নতুন সংসদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দ্বারা প্রণয়ন করা ৮৭ অধ্যাদেশ স্থায়ী করে; রাষ্ট্রপতি ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মতই বৃদ্ধি করে; নতুন সংসদ মন্ত্রীপরিষদে একটি পরামর্শক হিসাবে একটি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করে, এবং পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার সেনাবাহিনীর হাই কমান্ডের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইতে না পারে সেই বিষয়ে দেখতে হবে।
সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতার আশ্বাস
৭) মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেনারেল মোহাম্মদকে বলেন কিছু সুনির্দিষ্ট সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে ডিজিএফআই এর অবস্থান নিয়ে মার্কিন সরকার সন্তুষ্ট নয়, বিশেষত এমন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ যার সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন তার সরকার ডিজিএফআই থেকে আরও সহযোগিতা দেখতে চান। জেনারেল মোহাম্মদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আজ থেকে অগ্রগতি দেখা যাবে। মোহাম্মদ ডিজিএফআই এর সন্ত্রাস-দমন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (CTIB) এর নবাগত পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমাদুল হক এর প্রশংসা করেন। মোহাম্মদ বলেন আমিন পরিচালক থাকা অবস্থায় সন্ত্রাস-দমন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (CTIB) এর উপর তার নিয়ন্ত্রণ ছিল না, বর্তমানে আমিন অন্য ইউনিটে সড়ে গিয়েছেন, তাই ইমাদুলের মধ্যমে বর্তমানে তিনি সন্ত্রাস-দমন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন।
মন্তব্য
৮. IDP আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধনের কাগজপত্র পূরণ করেছে; এর প্রেক্ষিতে বুঝা গেলো, COAS মইন এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত নন। ভারতীয় হাইকমিশনার ২১ অক্টোবর রাষ্ট্রদূতকে বলেন জেনারেল আমিন সম্প্রতি তাঁকে বলেছিলেন, আইডিপি সৃষ্টি ও নিবন্ধনের উপর আমেরিকা সরকার বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো ধরণের অনুষ্ঠানে মইন এখন মার্কিন সরকারের নজরে আছে। আমরা এখন দেখতে চাচ্ছি আইডিপির নিবন্ধনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে তিনি নিজের প্রভাব ব্যবহার করেন কিনা। সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী কর্মকাণ্ডে ডিজিএফআইর সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতিটি প্রশংসনীয়। বিষয়টি আর গোপন নেই যে, ডিজি মোহাম্মাদ তার সাবেক অধনস্থ’র মরজিমতো কাজ করার অভ্যাসে বেকায়দায় পড়েছেন। কাউন্টার টেরোরিজম বিষয়ে সহযোগিতা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ তার অঙ্গীকার রাখেন কিনা, তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।
-মরিয়ার্টি