
বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার শুরু হয় ১৯৯৯ সালের ১৮ই জানুয়ারি কবি শামসুর রাহমানের উপর হামলার মধ্য দিয়ে। সে যাত্রায় কবি বেঁচে যান। একই বছর উদীচী অনুষ্ঠান ও আহমদিয়া মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ৯৯ সালের সবগুলো হামলার দায় স্বীকার করে হরকাতুল জিহাদ নামের জঙ্গি সংগঠন সংক্ষেপে হুজি।
আজকে আমরা দেখবো বিজয়ের মাসে জঙ্গি হামলাগুলো। ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। এই মাসে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। ডিসেম্বর মাসেও বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা থেমে নেই। ডিসেম্বর মাস হিসেবে সবচেয়ে বেশি জঙ্গি হামলা হয় ২০১৫ সালে। গত বছর ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নৌ বাহিনীর মসজিদে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার নৌ বাহিনীর সদস্য জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। নিচে শুধু ডিসেম্বর মাসের জঙ্গি হামলার রেকর্ড উল্লেখ করা হল। সামগ্রিক রেকর্ড দেখতে-টাইম লাইন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার
৫ ডিসেম্বর, ২০১৫: দিনাজপুরে রাসমেলার যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা বিস্ফোরণ। আহত ১০ জন। জেএমবি/আইএস
১০ ডিসেম্বর, ২০১৫: দিনাজপুরের কাহারোলে ইসকন মন্দিরে গুলি ও বোমা হামলায় দুইজন আহত । সন্দেহ জেএমবি/আইএস ।
১০ ডিসেম্বর, ২০১৫: চুয়াডাঙ্গায় বাউল সংগঠক জাকারিয়া হোসেন জাকির নিহত । সন্দেহ জেএমবি/আইএস ।
১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫: বাউল উৎসবের আয়োজক খুন: দুজনকে পুলিশে সোপর্দ
১৯ ডেসেম্বর, ২০১৫: চট্টগ্রামে নৌ বাহিনীর মসজিদে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি/হিজবুল ফুজুল
২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ – রাজশাহীর বাগমারায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় একজন নিহত হয়েছেন এবং ১০ জন আহত হয়েছে। হামলা চালায়-আইএস/জেএমবি
১১ ডিসেম্বর, ২০১৩: গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী জাকারিয়া বাবুকে খুন করে জামাতের কর্মী।
২১ ডিসেম্বর, ২০১৩: গোপীবাগে পীর লুতফর রহমানসহ ৬জনকে হত্যা করে জেএমবি।
জানুয়ারি ২০১২: সেনা বাহিনীর বয়ান অনুসারে সেনা বাহিনীতে ক্যু করার চেষ্টা করে জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরী।
৮ ডেসেম্বর, ২০০৫: আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৮ জন নিহত। হামলা চালানো হয় উদীচী ও শত দল শিল্পগোষ্ঠীর অফিসে। হামলা চালায় জেএমবি।
২৪ ডিসেম্বর, ২০০৪: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রোফেসর ইউনুস আলীকে হত্যা করা হয়। হত্যা করে-জেএমবি/শিবির।
৭ ডিসেম্বর, ২০০২: ময়মনসিংহে ৪টি সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলায় ১৭ জন নিহত হয়। হামলা চালায় জেএমবি।