স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সম্মেলনের তৃতীয় দিন ২৩শে জুলাই ছাত্রলীগের সম্মেলনে দলীয় কোন্দলে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সংগঠক আব্দুল রাজ্জাকের উপর হামলা করা হয়। রাজ্জাকের উপর হামলার ঘটনাকে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের উপর হামলার বলে অভিহিত করেন। হামলায় আব্দুল রাজ্জাক, রব, পথচারীসহ শতাধিক মানুষ আহত হয়। সেই হামলায় প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রতিবাদ সমাবেশ করে। প্রতিবাদ সভায় আব্দুল রাজ্জাক বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবীও জানান।




পত্রিকায় ছাত্রলীগের হামলার মূল কারণ হিসেবে বলা হয় দলীয় মতাদর্শে বিভাজন। এক দলে ছিলেন; ছাত্রলীগের নূরে আলম সিদ্দিকী ও আব্দুল কুদ্দুস মাখন অন্য দলে ছিলেন- আ স ম আব্দুল রহ ও শাহজাহান সিরাজ। তৎকালীন পত্রিকা কী লেখেছিল তার কপি নিচে উল্লেখ করা হল। ছাত্রলীগ হামলাকারীদের মাওয়াপন্থী ছাত্রলীগ হিসেবে উল্লেখ করে।


এই হামলার লেজ ধরেই আবার মিরপুরে ছাত্রলীগের অফিসে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায়ও একই ভাবে মার্কিন ও মাওবাদীপন্থী বহিষ্কৃত ছাত্রলীগদের ছাত্রলীগ দায়ী করে।

